অর্থনৈতিক, পরিবেশ ও পানিসম্পদের টেকসই উন্নয়নে দেশের নদীসমূহের ভূমিকা, চ্যালেঞ্জ ও ব্যবস্থাপনা


ডঃ মোঃ আতাউর রহমান

দেশব্যাপী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে ২৯ নভেম্বর ২০২০ তারিখে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক “বঙ্গবন্ধু ও নদীমাতৃক বাংলাদেশ” শীর্ষক একটি সেমিনার হোটেল সোনারগাঁও, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে মাননীয় তথ্যমন্ত্রী ডঃ হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি এবং মাননীয় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী জনাব খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রনে উক্ত সেমিনারে আমি একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করি, যার শিরোনাম ছিল “অর্থনৈতিক, পরিবেশ ও পানিসম্পদের টেকসই উন্নয়নে দেশের নদীসমূহের ভূমিকা, চ্যালেঞ্জ ও ব্যবস্থাপনা”। উক্ত প্রবন্ধের সারসংক্ষেপ নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

বঙ্গবন্ধু ও নদীমাতৃক বাংলাদেশ

এদেশের নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের মুক্তির জন্য সদা সংগ্রামী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ত্যাগ ও নেতৃত্বের অনন্য অবদানকে নদীর প্রবাহের সাথে তুলনা করে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত কবি অন্নদাশঙ্কর রায় কবিতায় লিখেছেন “যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরি মেঘনা বহমান, ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান”। স্বাধীনতা লাভের পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনসহ নানা প্রতিকুলতার মধ্যেও বঙ্গবন্ধু তাঁর সংক্ষিপ্ত শাসনামলে দেশের পানিসম্পদ তথা নদীসমূহের উন্নয়নে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। নদী খননের জন্য ড্রেজার ক্রয়, নৌপথের দৈর্ঘ্য নির্ণয়ে জরিপ সম্পাদন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিজের দায়িত্বে রাখা, বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশন গঠন - এ সকল কার্যসমূহ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনাতেই হয়েছিল। দেশের নদীসমূহ ও পানিসম্পদের ব্যবস্থাপনায় যোগ্য প্রকৌশলী তৈরি করার লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা বুয়েটে চালু করা হয় ‘পানি সম্পদ কৌশল বিভাগ’।

ছবি ১- বাংলাদেশের নদ-নদীর ম্যাপ

অর্থনৈতিক উন্নয়নে নদীসমূহের ভূমিকা

ভারত হতে আসা ৫৪টি নদী এবং মায়ানমার হতে আসা ৩টি নদীসহ মোট ৫৭টি আন্ত:সীমান্ত নদী এ দেশের সীমানা পেরিয়ে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর অসংখ্য শাখা-প্রশাখার মাধ্যমে তৈরী করেছে নদীমাতৃক বাংলাদেশ। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরিপ অনুযায়ী দেশে বর্তমানে নদীর সংখ্যা ৪০৫টি। নদীমাতৃক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দেশের নদীসমূহের রয়েছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। কৃষি উৎপাদন, মৎস্য উৎপাদন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, জীবন-জীবিকা, শিল্প কারখানা ও আভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহনে নদীসমূহের অবদান অতুলনীয়। দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি হচ্ছে কৃষি। কৃষি উৎপাদনে প্রয়োজনীয় পানির প্রায় ২৭ শতাংশ আসে নদী থেকে। শুকনো মৌসুমে নদীর পানি ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদন করার লক্ষ্যে লালমনিরহাট জেলায় তিস্তা নদীর উপর তিস্তা ব্যারাজ এবং মৌলভীবাজার জেলায় মনু নদীর উপর মনু ব্যারাজ নির্মান করা হয়েছে। কুষ্টিয়া জেলায় ভেড়ামারায় নির্মিত পাম্প স্টেশনের মাধ্যমে গঙ্গা নদীর পানি পাম্প করে সেচ খালে ফেলে তা দিয়ে কৃষি উৎপাদন করা হয় কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, ঝিনাইদহ, মাগুরা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে - যা জিকে প্রজেক্ট (Ganges-Kobadak Irrigation Project or G-K Project) নামে পরিচিত। কর্ণফুলী নদীতে ড্যাম নির্মান করে তৈরী কাপ্তাই পানি বিদ্যৎ কেন্দ্র সেই ষাটের দশক থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে চলেছে। মাছে-ভাতে বাঙালির মাছের অভয়ারণ্য হচ্ছে দেশের নদীসমূহ। নদীকে ব্যবহার করে গড়ে ওঠা জাহাজ নির্মাণ শিল্প, সিমেন্ট কারখানা, সার কারখানা, পেপার মিল, পাওয়ার প্ল্যান্টসহ অসংখ্য শিল্প কারখানা দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে।

ছবি ২- ২৯ নভেম্বর ২০২০ তারিখে “বঙ্গবন্ধু ও নদীমাতৃক বাংলাদেশ” শীর্ষক সেমিনারে লেখক কর্তৃক প্রবন্ধ উপস্থাপন

নদীসমূহের চ্যালেঞ্জ

দেশের ভৌগলিক অবস্থানের কারণে কিছু প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ যেমন বন্যা, নদীভাঙ্গন ও পলিপতনে নদী ভরাট ইত্যাদি মোকাবেলা করে কারিগরীভাবে নদী ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও চ্যালেঞ্জিং। নদী ভাঙ্গন নিয়ে এক গবেষণায় জানা গেছে যে, ১৯৭৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত শুধূমাত্র ৩টি বড় নদী পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার ভাঙ্গনে যে পরিমান কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে তার আয়তন এক লক্ষ ষাট হাজার হেক্টর, যা ঢাকা শহরের বর্তমান আয়তনের প্রায় পাঁচ গুণ।

ছবি ৩- পদ্মায় ভাঙনঃ মাদারীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয় বিলীন (২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯)

দেশের নদীসমূহ হিমালয় অববাহিকা থেকে প্রতিবছর প্রায় ১১০ কোটি টন পলি বহন করে নিয়ে আসে, যার মধ্যে প্রায় ৪০ কোটি টন পলি প্রতি বছর নদীর তলায় জমা হয়ে নদী ভরাট করে চলেছে। ফলে এক সময়ের প্রায় চব্বিশ হাজার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে নৌপথ গত কয়েক দশকে কমে দঁড়িয়েছে ছয় হাজার কিলোমিটারে। অন্যদিকে আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাবে দখল-দূষণের মানবীয়-দানবীয় অত্যাচারে নদীসমূহ আজ বিপর্যস্ত। দেশে এক সময়ে সাতশটি নদী থাকলেও বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে চারশতে। সাম্প্রতিক কয়েক বছরে বিভিন্ন গবেষণা ও তথ্য উপাত্ত হতে জানা যায় যে, বর্তমানে দেশে বিপন্ন নদীর সংখ্যা ১৭৪টি, প্রতি বছর গড়ে ১০টি নদী তার অস্তিত্ব হারাচ্ছে, খুলনায় নদী দখল বাণিজ্য - মৃতপ্রায় ১২টি নদী, দেশে নদী দখলকারীর সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ হাজার, মহানন্দা নদী দখল করে প্লট বিক্রি, দখলে-দূষণে বিপন্ন ঢাকার ৪ নদী, ২৯ নদীর দূষণ বিপজ্জনক স্তরে, পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত ১০টি নদীর মধ্যে অন্যতম একটি বুড়িগঙ্গা, দখলে-দূষণে করতোয়া এখন নালা, নদী ভরাট করে স্থাপনা তৈরী, বর্জ্য ফেলার সবচেয়ে বড় ভাগাড় যেন কর্ণফুলী নদী, সুরমা নদী দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে শৌচাগার। ১৯৯৫ সালে প্রণীত পরিবেশ আইন ও ২০১৩ সালে প্রণীত বাংলাদেশ পানি আইনে নদী দখল ও দূষণের শাস্তি হিসেবে জেল ও আর্থিক জরিমানার কথা উল্লেখ থাকলেও উপরে উল্লেখিত নদী দখল ও দূষণের পরিসংখ্যান এসব আইন প্রয়োগের করুন চিত্র তুলে ধরে। অপরদিকে উজানের দেশ ভারত কর্তৃক আন্তঃসীমান্ত নদীসমূহের পানি নিয়ন্ত্রন ও পানি প্রত্যাহারের ফলে শুকনো মৌসুমে পানি প্রবাহ স্বল্পতার কারণে দেশের কৃষি উৎপাদান, নৌ-পরিবহন ও পরিবেশ রক্ষায় ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হচ্ছে।


ছবি ৪- সোনারগাঁয়ে আনন্দবাজারে নদী দখল করে দেয়াল নির্মাণ

ছবি ৫- পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত প্রথম ১০ টি নদীর মধ্যে অন্যতম বুড়িগঙ্গা

নদী ব্যবস্থাপনা

সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা নদীমাতৃক এই দেশের অনন্য প্রাকৃতিক সম্পদ দেশের নদীসমূহকে যে কোন মূল্যে বাঁচাতে হবে। বন্যা-নদীভাঙ্গন-পলিপতনের মতো প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জসমূহকে সঠিক কারিগরী পরিকল্পনা, প্রকল্প ডিজাইন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে মোকাবেলা করতে হবে। কিন্তু দখল দূষণের নির্মম দানবীয় অত্যাচার থেকে মৃতপ্রায় নদীসমূহকে বাঁচাতে যথাযথভাবে আইন প্রয়োগের কোন বিকল্প নেই। তবে আশার কথা হচ্ছে নদী রক্ষায় বর্তমান সরকার কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গঙ্গা পানি চুক্তি ১৯৯৬, নদী খননে ও পলি অপসরণে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ড্রেজার ক্রয় ও প্রকল্প গ্রহন, বাংলাদেশ পানি আইন ২০১৩ প্রণয়ন, বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন, ঢাকার ৪ নদীকে রক্ষায় প্রকল্প গ্রহন, জাতীয় নদী কমিশন গঠন, বঙ্গবন্ধু নদী পদক চালু ইত্যাদি পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করে বর্তমান সরকার নদী রক্ষায় যথেষ্ট আন্তরিকতার পরিচয় দিয়েছে। পেশি শক্তি, দলীয় স্বার্থ, দুর্নীতি ইত্যাদির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে নদীকে দখল ও দূষণ মুক্ত করতে পারলে এবং সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে দেশের বিপর্যস্ত নদীসমূহ ফিরে পাবে তার অতীত রূপ, ফিরে পাবে প্রাণ।

নদী বাঁচাই, দেশ বাঁচাই

নদী আমাদের অস্তিত্বের অংশ, নদী আমাদের নান্দনিকতার উৎস। নদীর বন্যা রোধ করে, নদীর পলি অপসারন করে, নদীর ভাঙ্গন ঠেকিয়ে নদীকে তার আপন গতিতে চলতে দিতে হবে। দুষণ-দখলের হাত থেকে নদীকে বাঁচাতে প্রয়োজন পরিবেশ আইন ও পানি আইনের যথাযথ প্রয়োগ। প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ, দখল-দূষণের দানবীয় অত্যাচার এবং আন্ত:সীমান্ত নদসমূহের পানির ন্যায্য প্রবাহ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নিম্নলিখিত সুপারিশসমূহ বিবেচনার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের সদয় দৃষ্টি কামনা করছিঃ

● দেশের প্রতিটি নদীর দুই পাড়ে সীমানা পিলার নির্মাণ করে নদীর আয়তন চিহ্নিত করা।

● নদীর আয়তন চিহ্নিত করার পর নদী দখল করে থাকা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীকে দখলমুক্ত করা।

● নিয়মিত মনিটরিং এর মাধ্যমে নদীকে দখলমুক্ত রাখা।

● পানি ও পরিবেশ আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে নদীসমূহকে দূষণমুক্ত রাখা।

● নদীর অভিভাবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত নদী রক্ষা কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কমিশনের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়ন করা।

● নদী রক্ষা, নদী ব্যবহার ও নদী ব্যবস্থাপনায় যে সকল প্রতিষ্ঠান কাজ করে চলেছে, যেমন- WARPO, BWDB, BIWTA, নদী রক্ষা কমিশন - তাদের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করা এবং তাদের কার্যসমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা।

● ঢাকা শহরসহ অন্যান্য সকল শহর এলাকায় নদীসমূহকে দখলমুক্ত রাখতে নদীর দুই পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা।

● যথাযথ পরিকল্পনা অনুযায়ী নদী খনন, নদীর তীর রক্ষা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পসমূহ গ্রহণ করা।

● নদীসমূহের পরিবেশগত প্রবাহ (Instream Flow) নির্ণয় করা এবং শুকনো মৌসুমে উক্ত প্রবাহ নিশ্চিত করা।

● আন্ত:সীমান্ত নদীসমূহের ন্যায়সঙ্গত পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা। গঙ্গা-ব্রক্ষপুত্র-মেঘনা অববাহিকার (Ganges-Brahmaputra-Meghna, or GBM Basin) আন্ত:সীমান্ত নদী সমূহের ন্যায়সঙ্গত পানি প্রবাহ প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, ভুটান ও নেপাল - এই পাঁচটি দেশের সমন্বয়ে বহু-পক্ষীয় নদী কমিশন গঠন করা।

কানাডার বিখ্যাত নদী গবেষক ও পরিবেশবিদ মার্ক অ্যাঞ্জেলোর উদ্যোগে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রবিবার ‘বিশ্ব নদী দিবস’ পালিত হয়। মার্ক অ্যাঞ্জেলোর একটি বিখ্যাত উক্তি হলো, “নদীগুলো হচ্ছে পৃথিবীর ধমনী, সেগুলো সত্যিই বেঁচে থাকার উপায়”। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে নদীর প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা করার জন্য কারিগরীভাবে সুষ্ঠূ নদী ব্যবস্থাপনা গ্রহণ এবং পানি আইন ও পরিবেশ আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার মাধ্যমে দখল-দূষণের দানবীয় অত্যাচার থেকে দেশের ধমনী তথা নদীসমূহকে বাঁচানো অপরিহার্য। নদী প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আসুন আমরা নদী বাঁচাই, দেশ বাঁচাই, বাঁচাই দেশের পরিবেশ ও অর্থনীতি।


লেখক পরিচিতি- ড. আতাউর রহমান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের অধ্যাপক।


© 𝐖𝐑𝐄 𝐅𝐨𝐫𝐮𝐦 𝟐𝟎𝟐𝟏